কক্সবাজারের জেলার টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, “আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।”
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, “ভারী বৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘরে পানি আটকে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, ভারী বৃষ্টিতে তাঁর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়ার বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। মাটির ঘর সব ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।