ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা ভেঙে দিলেন

বাম থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেনি গান্টজ তেল আবিবের কিরিয়া সামরিক ঘাঁটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। ২৮ অক্টোবর, ২০২৩। ফাইল ছবি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা। গত সপ্তাহে মধ্যপন্থী সাবেক জেনারেল বেনি গান্টজ ঐ গ্রুপ ছাড়ার পর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল

গান্টজ যুদ্ধের শুরুতে অক্টোবরে নেতানিয়াহুর ঐক্য সরকারে যোগ দিয়েছিলেন এবং সমর মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। গান্টজকে ছাড়া নেতানিয়াহু দলটি ভেঙে দেন।

রবিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাস জঙ্গিদের ওপর বোমাবর্ষণে দিনের বেলা ১১ ঘণ্টার “কৌশলগত বিরতি” দেয়া শুরু করবে, যাতে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর সুযোগ দেয়া যায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, কিছু বিক্ষিপ্ত লড়াই সত্ত্বেও সোমবার সেই বিরতি বহাল রয়েছে।

ইসরায়েল বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তাদের আক্রমণের বিরতি অদূর ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে এবং ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত কেরেম শালোম ক্রসিং-এ পৌঁছানোর অনুমোদন দেবে। কেরেম শালোম ত্রাণের প্রধান প্রবেশপথ।

জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় আরও সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘ প্রতিদিন গড়ে ৬৮ ট্রাক ত্রাণ পেয়েছে। এপ্রিলে দৈনিক ১৬৮টি ট্রাকের তুলনায় তা কমে এসেছে। ত্রাণ সংস্থাগুলোর মতে প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন ছিল।

নতুন ব্যবস্থার লক্ষ্য ট্রাকগুলো ক্রসিং-এর ভেতরে এবং বাইরে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্ন ১১ ঘণ্টার উইন্ডো সরবরাহ করে ডেলিভারি সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা।

তবে মহাসড়ক ধরে চলাচলের সময় ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো রক্ষায় সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দেবে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

যুদ্ধে ইসরায়েলের সীমিত বিরতিকে জাতিসংঘ স্বাগত জা্নিয়েছে এবং বলেছে, তারা আশা করে, “এটি গাজায় অর্থবহ মানবিক প্রতিক্রিয়া রোধ করে এমন দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলো মোকাবিলায় ইসরায়েলের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের দিকে পরিচালিত করবে।”

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এএফপি এবং এপি থেকে নেয়া হয়েছে।