দ্য এসোসিয়েশান অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশানস’এর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে সংঘাতের ঝুঁকি প্রশমিত করতে আচরণ বিধি নির্ধারণ করার বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা ও আলোচনায় গতি আনবে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস বা আসিয়ান। ২০২৬ সালের মধ্যে আলোচনা শেষ করতে পারবে বলে আশা করছে এই জোট।
তবে এই আচরণ বিধি আইনত বাধ্যতামূলক হবে কিনা তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
আসিয়ানের মহাসচিব কাও কিম হর্ন বুধবার এক গোলটেবিল বৈঠকে সংবাদদাতাদের বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে যাব। আমরা এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারি না যে, উত্তেজনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে।”
চলতি সপ্তাহে কাও ওয়াশিংটনে রয়েছেন। এই আঞ্চলিক জোট ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব তুলে ধরতে ও উন্নীত করতে এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।
ফিলিপাইন চীনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে চায়
স্টিমসন সেন্টারে বুধবার এক সেমিনার চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল আসিয়ানকে “স্পষ্টত ফিলিপাইনের জলসীমায় প্ররোচনা সংক্রান্ত উদ্বেগ নিয়ে একটি দ্ব্যর্থহীন বার্তা পাঠাতে” আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের সেকেন্ড টমাস বালুচর (রেন আই জিয়াও নামেও পরিচিত) সংলগ্ন জলসীমার কাছে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে ফিলিপাইনস ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংকটের আবহে এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
ক্যাম্পবেল আরও বলেন, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র “কোনও সংকট চান না”, তবে তিনি বেইজিং-এর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা প্রত্যাশা করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইছি, চীন তাদের উস্কানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করুক।”
এদিকে, মিয়ানমারের (পূর্বতন বর্মা) সংঘাত নিয়ে আসিয়ান জোট দ্বিধাবিভক্ত হয়ে রয়েছে। এই সংঘাত শুরু হয়েছে তিন বছরের বেশি সময় আগে যখন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল জান্তা।
লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো আসিয়ানের কর্তৃত্ববাদী সদস্যরা জান্তাকে খানিকটা হলেও সমর্থন করে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর-সহ অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রতিরোধ বাহিনীর সামান্য হলেও যোগাযোগ রয়েছে।
কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ২০১৭ সাল থেকে তারা বারবার শুনছেন যে, একটা আদর্শ আচরণ বিধি আসতে চলেছে, কিন্তু চীনের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে মতভেদ রয়েছে এমন দাবীদারদের কাছ থেকে তা কখনও আসেনি।
আরেকটা জরুরি বিষয় হল, আসিয়ান দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়েছে যে, আদর্শ আচরণ বিধি আইনত বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, কিন্তু চীন কখনও এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে গ্রহণ করেনি।