যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-৭ নেতাদের সাথে বৈঠকের আগে বুধবার রাতে ইতালির ব্রিন্ডিসিতে পৌঁছান।
তিনি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি দ্বিপক্ষীয় সুরক্ষা চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। তবে গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টি এখন একটি জটিল সন্ধিক্ষণে আছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান বুধবার ভোরে ইতালি যাওয়ার পরথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর বেশিরভাগই ছোটখাটো এবং অপ্রত্যাশিত নয়। অন্যগুলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা বর্ণিত হয়েছে তা থেকে বেশ ভিন্ন।”
বাইডেন যখন ইতালি সফরে যাচ্ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় মস্কোর সামরিক শিল্প ঘাঁটিতে সহায়তাকারী বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে চীনভিত্তিক কোম্পানিও রয়েছে, যারা রাশিয়ার কাছে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি করছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে মস্কোর কৌশলগত অগ্রগতির মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য কিয়েভকে ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ দেয়ার বাইডেনের পরিকল্পনাকে সমর্থন করার জন্য জি-সেভেন নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাবেন জেলেন্সকি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব হলো, পশ্চিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জব্দ করা ২৮ হাজার কোটি ডলারের রুশ সম্পদ থেকে ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সুদ আয় ব্যবহার করে পশ্চিমা মিত্রদের পরিশোধ করা হবে।
বাইডেন কৌশলগত জ্বালানিবান্ধব প্রযুক্তিতে চীনের অতিরিক্ত উৎপাদন মোকাবিলায় মে মাসে কঠোর শুল্ক বৃদ্ধি আরোপ করেছিলেন এবং জি সেভেনকে একই কাজ করার আহবান জানিয়েছিলেন।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় ঘোষণা করেছে, এটি চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি)-কে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করবে। তারা বলে, আমদানি সুবিধা “অন্যায্য ভর্তুকি থেকে প্রচুর উপকৃত হয়” এবং ইউরোপের উৎপাদকদের জন্য “অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকি” তৈরি করে।