মিয়ানমার ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উজবেকিস্তান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক আলাপ

তাসখন্দে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশন-এ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ১১ জুন, ২০২৪।

ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন স্থাপন এবং ঢাকা ও তাসখন্দে মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ শুরু করতে, উজবেকিস্তানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) তাসখন্দে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশন-এর (এফওসি) তৃতীয় রাউন্ডে এ আহবান জানানো হয়।

উভয় পক্ষ মিয়ানমার পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজার চলমান সংকট নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করে এফওসি-তে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং উজবেকিস্তানের ফার্স্ট ডেপুটি মিনিস্টার অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স বাখরোমজন আলোয়েভ, ফরেন অফিস কনসালটেশনে নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

আলোচনায়, দুই দেশের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

একই সঙ্গে, সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো নতুন ক্ষেত্রগুলো সমন্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।

এছাড়া টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে আরো ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন তারা।

দুই দেশের প্রতিনিধিরা, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উজবেকিস্তানের ফার্স্ট ডেপুটি মিনিস্টার অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় নতুন গতি সঞ্চার করার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব উত্থাপিত বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তার প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন।

বাখরোমজন আলোয়েভ, বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর ও ফলপ্রসূ সহযোগিতা জোরদারে তার সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক তাৎপর্যপূর্ণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোমেন উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে লেখা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি চিঠি হস্তান্তর করেন তিনি।

উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফরেন অফিস কনসালটেশন-এর পর, বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং উজবেকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসির ডিপ্লোমেটিক একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে, বাংলাদেশে পরবর্তী পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।