মঙ্গলবার জার্মানি আয়োজিত একটি পুনর্গঠন সম্মেলনে বক্তব্য রাখাকালীন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দেশের জ্বালানি ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার কারণে, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে তারা ফ্রন্টলাইনে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে এবং কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারে।
“ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় কৌশলগত সুবিধা হচ্ছে আকাশে তাদের আধিপত্য। ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা সন্ত্রাসের সাহায্যে রুশ সৈন্যরা অগ্রসর হতে পাড়ছে,” জেলেন্সকি বলেন। “এর উত্তর হচ্ছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা।”
ইউক্রেন সামরিক ও অবকাঠামোগত প্রয়োজনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা পাবে বলেও আশা করছেন জেলেন্সকি।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় শান্তি সম্মেলনের কয়েকদিন আগেই বার্লিনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এখানে ৯০টি দেশ ও সংস্থা একটি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ কাঠামো নিয়ে কাজ করবে। তাছাড়া এই প্রক্রিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেনকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টিও তাদের কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় রাশিয়া অংশগ্রহণ করবে না।
জুলাইয়ের প্রথম দিকে ওয়াশিংটনে নেটো নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনও রয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিব, ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার বলেন, মিত্ররা “ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রতিশ্রুতিতে সম্মত হবে” বলে তিনি আশা করছেন। ইউক্রেনে একটি স্থিতিশীল সামরিক সহায়তা প্রবাহের প্রয়োজনীতার কথা বলেন তিনি।
এ প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এ এফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।