জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম জিসিএ অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী দেশ

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রফেসর প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেন। ১১ জুন, ২০২৪।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায়, স্থানীয় অভিযোজন কর্মসূচি প্রবর্তনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য, গ্লোবাল সেন্টার অন দ্য অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর, স্থানীয় অভিযোজন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রথম জিসিএ অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী দেশ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জিসিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রফেসর প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেন, গণভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব জানান, স্থানীয়ভাবে প্রণীত জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি গ্রহণে নেতৃস্থানীয় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ এই পুরস্কার অর্জন করেছে।

“জিসিএ'র নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী পুরস্কার জয়ী বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন” আরো জানান তিনি।

লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি) এর জন্য ইনোভেশন ইন ডেভেলভিং ফিন্যান্স ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া প্রথম দেশ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান জানান, পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে তিনি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছেন হয়েছেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, “এই স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং সমৃদ্ধ ও সহনশীল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের যাত্রায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-এর অমূল্য সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ;” জানান নাঈমুল ইসলাম খান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রফেসর ভারকুইজেন-কে অবহিত করেন। “আমরা নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি;” জানান শেখ হাসিনা।

উন্নত দেশগুলো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সহায়তায় জলবায়ু তহবিলে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেয়ার অঙ্গীকার রক্ষা করেনি বলে একমত হন প্রধানমন্ত্রী এবং জিসিএ-এর সিইও।

প্রফেসর প্যাট্রিক ভারকুইজেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ প্রদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এই দাবির পক্ষে আরো সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান।

প্রফেসর প্যাট্রিক ভারকুইজেন, ডেনমার্কের জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যে, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান। অন্যথায়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

জিসিএ নেদারল্যান্ডসের অফিস রয়েছে রটারডামে। ঢাকার পাশে প্রকৃতির প্রতীকী একটি ভ্রাম্যমান অফিস নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে জিসিএ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অফিস নির্মাণের জন্য ঢাকার বাইরে কুতুবদিয়া বা অন্য কেনো এলাকা বিবেচনার পরামর্শ দেন।

প্রফেসর ভারকুইজেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শেখ হাসিনার ভূমিকা এবং স্থানীয়ভাবে উন্নত অভিযোজন কর্মসূচির প্রশংসা করেন। প্রেস সচিব জানান যে জিসিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, “এ বিষয়ে আপনার ভূমিকা আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি যেখানেই যাই, সেখানেই জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বাংলাদেশ ও আপনার কথা বলি। সুতরাং আপনারা আমাকে দূত হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।”