বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর করার অঙ্গীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার (১০ জুন) সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। “আগামী দিনগুলোতে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন;” জানান তিনি।
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর রবিবার (৯ জুন) নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
হাছান মাহমুদ জানান, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে। তিনি জানান, দুই নেতা পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে, সে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেয়া ভোজসভায় অংশ নেন।
দুই দেশের পারস্পরিক প্রত্যাশার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুফল রয়েছে। এছাড়া, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে যোগাযোগসহ উভয় দেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।”
হাছান মাহমুদ বলেন,“আমাদের বহুমুখী গভীর সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে এবং এটি আরো গভীর হবে।”
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির প্রত্যাশা: ‘সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্রে জোর দেবে মোদী সরকার’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতের নতুন সরকার, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ভিত্তি হিসেবে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র অন্বেষণে জোর দেবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।
সোমবার (১০ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
“ভারতে যে মানদণ্ড দেখা যায়, যেখানে নাগরিকরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে এবং যেখানে নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে, একই মান অর্জনের জন্য এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে;” আরো বলেন তিনি।
এই লক্ষ্য অর্জনে এবং একইভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দল কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “ভারতের নতুন সরকারের কাছ থেকে আমরা যা আশা করি; তা হলো, তারা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা-কে সম্মান করবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে।”
“ভারত নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশ;” যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।