ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগীয় গোয়েন্দা সংস্থা (জিইউআর) বলছে, এই প্রথমবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে এক বিমান-ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক রুশ যুদ্ধবিমান সুখোই এসইউ-৫৭ এর উপর আঘাত করা হয়েছে। জিইউআর রবিবার উপগ্রহ চিত্র দেখিয়ে এই হামলার বিষয়কে নিশ্চিত করেছে।
কীভাবে এসইউ-৫৭ বিমানকে আঘাত করা হয়েছে বা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কোন দল এই হামলা চালিয়েছে তা নিজেদের টেলিগ্রাম পোস্টে নির্দিষ্ট করে জানায়নি জিইউআর।
রাশিয়ার জনপ্রিয় যুদ্ধপন্থী সেনা-ব্লগার যিনি নিজেকে ‘ফাইটারবম্বার’ বলেন এবং বিমান নিয়ে আলোচনা করেন তিনি বলেছেন, এসইউ -৫৭-এর উপর হামলার খবরটি সঠিক এবং একটি ড্রোন একে আঘাত করেছে।
জিইউআর বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ৫৮৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আখতুবিন্সক বিমানঘাঁটিতে এই যুদ্ধবিমানটি রাখা ছিল।
জিইউআর বার্তার সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করে বলেছে, “এই ছবিগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, ৭ জুন এসইউ-৫৭ অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং (৮ জুন) বিস্ফোরণের ফলে সেখানে গর্ত রয়েছে এবং এর আশেপাশে অগ্নিঘটিত ক্ষয়ক্ষতির ফলে পোড়ার দাগও দেখা যাচ্ছে।”
দূরপাল্লার ড্রোন
মস্কোর বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ইউক্রেনের নেই। রাশিয়ার আরও অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে ইউক্রেন তাই দূরপাল্লার ড্রোন তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে।
রুশ ব্লগার ‘ফাইটারবম্বার’ বলেছে, বিস্ফোরকের টুকরো যুদ্ধবিমানটিতে আঘাত করে এবং একে মেরামত করা যাবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে বর্তমানে।
তিনি বলেন, বিমানটিকে যদি মেরামত করা সম্ভব না হয় তাহলে এটাই হবে এসইউ-৫৭-এর প্রথম যুদ্ধজনিত ক্ষতি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির সামরিক প্রতিনিধি আলেক্সান্দার খারচেঙ্কো এক বার্তা পোস্ট করেন, যেটা সরাসরি হামলার বিষয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, তবে সামরিক বিমান রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ‘হ্যাঙ্গারে’র অভাবকে নিন্দা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমগোত্রীয় অস্ত্রের পাল্টা জবাবে রাশিয়া পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এসইউ-৫৭ তৈরি করেছিল। তবে একে উন্নত ও আরও কার্যকরী করে তুলতে অনেকটা বিলম্ব হয় এবং ২০১৯ সালে একটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই বিমানের প্রস্তুতকারকের বক্তব্য অনু্যায়ী, ২০২২ সালে এই যুদ্ধবিমানের ধারাবাহিক উৎপাদন শুরু হয়