খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে, অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে, সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। খেলাপি ঋণকে সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান তিনি।
“প্রয়োজনে আদালত সংখ্যা বাড়ানো হবে। চট্টগ্রামে আরো দুইটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া ঢাকায় বিদ্যমান চারটি অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি আরো তিনটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে;” আরো জানান আনিসুল হক।
খেলাপি ঋণকে সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়।
ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি কার্যকরভাবে অনুসরণের জন্য বিচারকদের পরামর্শ দেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, মামলার শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬ (৫) ধারা মতে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আদালত, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকার) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
“এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে জবাবদিহি ও ঋণ আদায়ে বাদীপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন;” যোগ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।