সুইজারল্যান্ড শান্তি সম্মেলনের আগে ইউক্রেনের অবস্থানের পক্ষে চীন

বুর্গেনস্টক রিসোর্টের সামনে একটি সুইস পতাকা। সুইজারল্যান্দের লুসার্নের বুর্গেনস্টকে ইউক্রেনে শান্তি বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ মে, ২০২৪।

এই সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সমালোচনার জবাব দিচ্ছে চীন। চীন ইউক্রেনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে আগামী সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে অংশ না নিতে অন্যান্য দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য চীন নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনা পেশ করছে।

জেলেন্সকি ২ জুন শাংগ্রি-লা সংলাপে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়া থেকে দেশগুলোকে বাধা দেয়ার জন্য চীনের বিরুদ্ধে “প্রাণপণ চেষ্টা” করার অভিযোগ করার পর বেইজিং সোমবার সেটি অস্বীকার করে বলে, বেইজিং “শান্তির জন্য আলোচনার প্রচারে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” এবং তারা আশা করে যে, শীর্ষ সম্মেলনটি “ব্লকের মধ্যে সংঘাত তৈরিতে ব্যবহৃত হবে না।”

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “এতে যোগ না দেয়ার অর্থ শান্তিকে সমর্থন না করা নয়।”

জেলেন্সকির সমালোচনা প্রতিহত করার পাশাপাশি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার একটি চীনা শান্তি পরিকল্পনাও পেশ করেন।

ফাইল- সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বেইজিং , মে ৩০,২০২৪।

মঙ্গলবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চীন মনে করে, ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিশ্বের এখন আরও নিরপেক্ষ , ভারসাম্যপূর্ণ, ইতিবাচক এবং গঠনমূলক কণ্ঠস্বর তৈরি করা প্রয়োজন।”

কিছু বিশ্লেষক বলছেন, সুইজারল্যান্ডের অধিবেশনে যোগ দিতে বেইজিং-এর অনীহা হলো রাশিয়াকে সমর্থন করার জন্য সম্মেলনে আক্রমণ এড়ানোর একটি প্রচেষ্টা। সিঙ্গাপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে জেলেন্সকি বলেছিলেন, ১০৬টি দেশ এবং কমপক্ষে ৭০টি রাষ্ট্রপ্রধান এই অধিবেশনে অংশ নেবেন।

একদিকে বেইজিং ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে চিত্রিত করে চলেছে, অন্যদিকে তখন চীনের প্রতি জেলেন্সকির বিরল প্রকাশ্য সমালোচনা চীনের প্রতি ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। শাংগ্রি-লা সংলাপে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেন্সকি বলেন,এটা দুর্ভাগ্যজনক যে চীন “(রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের কাছে একটি হাতিয়ার।”

কিছু বিশ্লেষক বলেন, সিঙ্গাপুরে জেলেন্সকির মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, যুদ্ধে চীন নিরপেক্ষ থাকবে বলে ইউক্রেনের প্রাথমিক আশা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে।