বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার: ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতি উৎসাহিত করবে’

এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা বৈধ করার বিধান রাখা মানে হলো ‘দুর্নীতিকে উৎসাহিত’ করা। শুক্রবার (৭ জুন) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

“যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যায়, তাহলে আমাদের, সৎ করদাতা এবং কালো টাকার ধারকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না;” জমির উদ্দিন সরকার যোগ করেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা বৈধ করার কোনো সুযোগ না দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা উচিত। “যদি করের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা যায়, তবে, তা অসততায় লিপ্ত হতে মানুষকে উৎসাহিত করবে;” আরো বলেন তিনি।

সংসদের প্রাক্তন স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, “দয়া করে সতর্ক থাকুন, যাতে একজনের উপার্জন করা অর্থ এবং অন্যজনের সহজেই পেয়ে যাওয়া অর্থের মধ্যে পার্থক্য বজায় থাকে। সহজে টাকা পাওয়ার সঙ্গে, টাকা রোজগার করার মিল থাকে না... সরকারের কাছে এটাই আমার বিনীত অনুরোধ।”

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দুই বছর আগে, ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধান ছিলো।

ভালো সাড়া না পাওয়ায়, পরে এই বিধান বাতিল করা হয়। এক বছরের বিরতির পর অর্থমন্ত্রী কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে বিধানটি আবার ফিরিয়ে এনেছেন।

ওবায়দুল কাদের: প্রস্তাবিত বাজেট গণমুখী

ঘোষণার পর, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে একটি গণমুখী বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও অগ্রাধিকারের খাতগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।” দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বাজেট প্রণয়নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কোনো নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার কারো প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে বাজেট তৈরি করে না।”