ভ্লাদিমির পুতিনঃ রাশিয়া 'সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে'

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফটোঃ ৬ জুন, ২০২৪।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দেওয়া হলে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

“কারও কার্যকলাপ যদি আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে তাহলে আমাদের বিবেচনায়, সমস্যা সমাধানের জন্য যে কোনও উপায় অবলম্বন করা সম্ভব,” পুতিন বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি যা বলেছেন তা তার দেশের নিরাপত্তা নীতির অন্তর্গত।

এক দল আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে পুতিন বলেন, “পশ্চিমারা কোনও কারণে বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া এই অস্ত্র কখনও ব্যবহার করবে না।”

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার।

সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে রুশ নেতা দীর্ঘক্ষণ ধরে মুখোমুখি কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিকে সতর্কও করেছেন পুতিন।

তিনি বলেন, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ও পশ্চিমাদের তৈরি করা অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে নিক্ষেপ করার সুযোগ দিলে, তিনিও একই রকম রুশ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের ইউরোপীয় মিত্রদের সীমার মধ্যে থাকা দেশগুলিতে মোতায়েন করতে পারেন।

রুশ ভূখণ্ডে আক্রমনের অনুমতি

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, “আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে ও আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে রণক্ষেত্রে তারা যদি এমন সব অস্ত্র সরবরাহকে সমীচীন মনে করেন, তাহলে বিশ্বের সেই সব অঞ্চলে একই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার আমাদের থাকবে না কেন, যেখানে ওই দেশগুলির (যারা রাশিয়ার ক্ষতি করছে) স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলিতে হামলা চালাতে অস্ত্রগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে?”

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে সীমান্ত বরাবর দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে এই দলে যোগ দিয়েছে জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস, ব্রিটিশ ও ফরাসি ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন পুতিন।

পুতিনের বক্তব্য অনুযায়ী, জার্মানির ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পৌঁছানোয় রাশিয়ায় অনেকে অবাক হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “জার্মান ট্যাঙ্ক যখন প্রথম ইউক্রেনের মাটিতে হাজির হয়, তখন রাশিয়া এক নৈতিক ধাক্কা খেয়েছিল কারণ রুশ সমাজে (জার্মানির) প্রতি মনোভাব ও সম্পর্ক চিরকালই ভাল ছিল।”

পুতিন বলেছেন, “এখন তারা যদি রুশ ভূখণ্ডে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় আঘাত হানতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে তা রুশ-জার্মান সম্পর্ককে একেবারেই নষ্ট করে দেবে।”