যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার নরম্যান্ডির উপকূলে মিত্র বাহিনীর ডি-ডে অবতরণের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো রাশিয়ার দুই বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করা বন্ধ করবে না।
ফ্রান্সের কোলেভিল-সুর-মেরে এক বক্তব্যে বাইডেন বলেন, আমরা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা থেকে ‘সরে যাবো না’ এবং ‘গুন্ডামির কাছে আত্মসমর্পণ করবো না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন “আধিপত্য বিস্তারের স্বৈরাচারী উদ্দেশ্যে” আগ্রাসন চালিয়েছেন। বাইডেন আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যেকোনো সময়ের চেয়ে গণতন্ত্র এখন বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবির্ভূত বিশ্ব ব্যবস্থার প্রতি ব্যাপক সমর্থন ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “একদম ভুল করবেন না, আমরা মাথা নত করবো না, আমরা গুন্ডামির কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারি না, এটা একেবারেই অচিন্তনীয়। আমরা যদি তা করি, তাহলে স্বাধীনতা পরাধীন হয়ে পড়বে, পুরো ইউরোপ হুমকির মুখে পড়বে।”
'পবিত্র সৈকত'
নরম্যান্ডির আমেরিকান কবরস্থানের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “গুন্ডাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা, স্বৈরশাসকদের কাছে মাথা নত করা একেবারেই অকল্পনীয়। আমরা যদি তা মনে করি, তার মানে এই পবিত্র সৈকতে কী ঘটেছিল তা আমরা ভুলে গেছি।”
ডি-ডে ছিল ইতিহাসের বৃহত্তম উভচর আক্রমণ। বাইডেন এটিকে “সত্যিকারের জোট কীভাবে আমাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে তার শক্তিশালী উদাহরণ” বলে অভিহিত করেছেন।
বাইডেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভেটেরানদের শুভেচ্ছা জানান, যারা ডি-ডে অবতরণে অংশ নিয়েছিলেন। ভেটেরানদের অনেকে হুইলচেয়ারে ছিলেন। কারো কারো বয়স ছিলো ১০০ বছরের বেশি।
বাইডেন একজন ভেটেরানকে বলেন, “আপনি পৃথিবীকে রক্ষা করেছেন।” তিনি প্রত্যেক ভেটেরানকে একে একে অভিবাদন জানান, স্যালুট ও করমর্দন করেন এবং তাদের হাতে এই অনুষ্ঠানের জন্য তার ডিজাইন করা একটি বিশেষ মুদ্রা তুলে দেন।
বাইডেন ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার মাঝে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। পাঁচ বছর আগে ডি-ডে’র ৭৫তম বার্ষিকীতে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
ভয়ের অফ আমেরিকার আনিটা পাওয়েল কোলেভিল-সুর-মের থেকে এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।