লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে গুলি বিনিময়, বন্দুকধারী আটক

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাসের সামনের রাস্তায় সেনা বাহিনীর পাহারা। ফটোঃ ৫ জুন, ২০২৪।

বৈরুতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বুধবার জানিয়েছে, দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে গোলাগুলির খবর পাওয়ার পর তাদের কর্মী ও স্থাপনা নিরাপদে আছে।

লেবাননের সেনাবাহিনী জানায়, একজন বন্দুকধারী দূতাবাস লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে লেবাননের সেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধে দূতাবাসের একজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে। হামলাকারী একজনই ছিল বলে মনে হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, সন্দেহভাজন সিরীয় নাগরিক ঘটনাস্থলে আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং দুজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারী সিরিয়ার নিকটবর্তী লেবাননের সীমান্তবর্তী শহর মাজদাল আনজারের বাসিন্দা।

সামাজিক মাধ্যমে দূতাবাস বলেছে, “এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আমরা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।”

বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বন্দুকধারী ‘গাজার সমর্থনে’ দূতাবাসে হামলা চালায়।

আত্মীয়দের আটক

সামরিক বাহিনী মাজদাল আনজার এবং নিকটবর্তী সুয়েইরিতে অভিযান চালিয়েছে এবং সন্দেহভাজনের আত্মীয়দের আটক করেছে বলে জানা গেছে। সামরিক বাহিনী অন্য বন্দুকধারী বা চরমপন্থী সেলের সন্ধান পায়নি বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এক বিবৃতিতে বলেন, “ঘটনার পরিস্থিতি নির্ধারণ এবং জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত চলছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিসা জনসন বর্তমানে লেবাননের বাইরে আছেন।

ইসরায়েলি সেনা এবং সশস্ত্র লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা লড়াইয়ে সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গুলি চালানোর দায়ে লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী এক লেবানিজ নাগরিককে আটক করে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর এক মাস পর শত শত বিক্ষোভকারী গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে দূতাবাসের নিকটে বিক্ষোভ করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি, এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।