দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আবার শুরু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার ক্যাম্বোডিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
অস্টিন সামাজিক মাধ্যম এক্স’ এ দেওয়া একটি পোস্টে লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আমি আরও সংলাপের অপেক্ষায় আছি”।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন ক্যাম্বোডিয়ার নেতাওেদর সঙ্গে অস্টিনের আলোচনার মধ্যে ছিল বিপদে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সামরিক প্রশিক্ষণ আবার শুরু করা, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মসূচী এবং অব্যবহৃত অস্ত্রাগার খালি করা এবং মাইন নষ্ট করা।
অস্টিন পৃথক ভাবে ক্যাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেট এবং সেনেট প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। হুন সেন হচ্ছে হুন ম্যানেটের বাবা যিনি ৩৮ বছর ধরে ক্যাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন । অস্টিন ক্যাম্বোডিয়ার প্রতিরক্সা মন্ত্রী তিয়া সেইহার সঙ্গেও দেখা করেন।
ওয়াশিংটনে এ নিয়ে পরিমিত আশাবাদ রয়েছে যে হুন ম্যানেট তার বাবার তূলনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে আরও নিবীড় হবেন। তাঁর বাবা, হুন সেন গত বছর অবধি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন।
গত মাসে চীন ও ক্যাম্বোডিয়া বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে এবং দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্য ব্যক্ত করে। ২০১৬ সাল থেকে এ দুটি দেশ ‘গোল্ডেন ড্রাগন’নামে তাদের বার্ষিক মহড়া করে আসছে । ক্যাম্বোডিয়ার সরকার ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ ধরণের সামরিক অনুশীলন বাতিল করে দেয়।
ক্যাম্বোডিয়াকে নতুন সামরিক সাজ সরঞ্জাম কিনতে অর্থ দিয়ে এবং ক্যাম্বোডিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলে রীম নৌঘাঁটির মতো স্থাপনাগুলোকে হালনাগাদ করতে চীন সাহায্য করেছে।
ঐ ঘাঁটিতে চীনের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উদ্বেগ কৌশলগত প্রকাশ করেছেন এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে ওই স্থানটি বেইজিং’এর নৌবাহিনীর জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে।
ডিসেম্বর মাস থেকে ওই নৌ ঘাঁটির একটি নতুন জেটিতে চীনা যুদ্ধজাহাজগুলি নোঙ্গর করা আছে। গত মাসে ক্যাম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলে যে পাঁচ মাছ ধরে চীনা জাহাজ নোঙ্গর করে থাকা মানে এ নয় যে চীনা বাহিনী এখানে স্থায়ী ভাবে মোতায়েন থাকবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।