মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া বলেছে, তারা অ-নাগরিকদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেবে।স্বল্প জনসংখ্যার দেশটিকে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস বলেছেন, এই বছর জুলাই “১২ মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত স্থায়ী বাসিন্দাদের” এই সুযোগ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলরেখা এতই বিশাল যে তা পৃথিবীর চারপাশ দিয়ে একবারের একটু বেশি ঘুরে আসতে পারবে। তবে এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৬০ লক্ষ ।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে ক্যানবেরা প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বরাদ্দ বাড়িয়ে সাবমেরিন, জেট এবং অসংখ্য যুদ্ধ যানের বহর কিনেছে।
কিন্তু এসব সরঞ্জাম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পাইলট, নাবিক ও সৈন্য সংগ্রহে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, খুব কম সংখ্যক অস্ট্রেলীয় নাগরিকই বর্তমানের চাহিদা পূরণের জন্য বাহিনীতে যোগদান করছে। ভবিষ্যতের এত বিশাল সামরিক বাহিনীর এই চাহিদা তাতে মেটানো সম্ভব না।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আজ রিজার্ভসহ মোট ৯০,০০০ জন কর্মী রয়েছে।
অন্যদিকে চীনের সামরিক বাহিনীতে আনুমানিক ২০ লাখ সদস্য রয়েছে। মারলেস বলেন, "আগামী দশক এবং তারও পরের বেশ কিছু সময়ের জন্য দেশের নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীর আকার বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।“