বাংলাদেশের দুই প্রধান দল, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধ বিএনপি একে অপরকে ‘লুটেরা’ দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (২ জুন) বলেন, পত্রিকা খুললে ‘লুটপাট ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না।’
“এই আওয়ামী লীগ সরকার, এরা আসলে ডাকাত ও লুটেরা,” আলমগীর বলেন।
“সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক আইজিপি, যিনি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। চোরাচালানে জড়িত সংসদ সদস্য,” সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, ঢাকায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরে বিএনপিকে ‘দুর্নীতি ও লুটপাটে পটু’ একটি দল হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের নাম দুর্নীতিবাজদের তালিকায় শীর্ষে থাকবে।
“দুর্নীতি করা সত্ত্বেও বিএনপি নেতারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে জনপ্রিয় নেতা বলে দাবি করেন, ” শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন।
“বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিলো দুর্নীতি ও আঁতুড়ঘর। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার সাহস পায়। তারা কি কখনো দলের কোনো কর্মী বা সরকারি কর্মকর্তাকে দুর্নীতির জন্য শাস্তি দিয়েছে?” প্রশ্ন করেন কাদের।
রবিবারের আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্ব হারাবে।
“দেশকে রক্ষা করা, স্বাধীনতাকে রক্ষা করা, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি তাদের বাধা দিতে না পারি, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না;” আলমগীর বলেন।
তিনি বলেন, পত্রিকা খুললে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। তিনি প্রশ্ন করেন, “কারা লুটপাট করছে?”
“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কী হাস্যকর! রাষ্ট্র কিছুই জানে না। এখন তাহলে রাষ্ট্রের এই অবস্থা,” যোগ করেন বিএনপি নেতা।
এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন যে তাঁদের সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।
“কোনো দেশেই নিখুঁত গণতন্ত্র নেই। আমরাও দাবি করি না যে আমাদের গণতন্ত্র নিখুঁত। তবে আমরা চেষ্টা করছি নিখুঁত করতে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক,” সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন।
রবিবারের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন যে, দেশের ব্যাংক থেকে টন টন স্বর্ণ ‘উধাও হয়ে যাচ্ছে’ এবং হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে।
রূপপুরসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প দেশকে ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এসব প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আমরা শেষ হয়ে যাবো।”