যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার চিসিনাউয়ে তাঁর সফরের সময় মলদোভার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করে দেশটিকে তার জ্বালানি শক্তির সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য এবং রাশিয়ার অপতথ্য মোকাবিলার জন্য সাড়ে তেরো কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবারের এই সফরের সময়ে ব্লিংকেন ইউএসআইডির অর্থায়নে সাড়ে আট কোটি ডলার পর্যন্ত প্রদানের কথা ঘোষণা করেন যা মলদোভার জাতীয় বিদ্যুত্ গ্রীডে ভর্তুকি হিসেবে কাজ করবে এবং রোমানিয়া, ইউক্রেন এবং বৃহত্তর ইউরোপীয় বাজারের সঙ্গে বিদ্যুত্ বানিজ্য বৃদ্ধি করবে। তিনি এই পশ্চিমি দেশের সমর্থক দেশটিকে যে কীনা রাশিয়ার কাছ থেকে নতুন করে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে আরও সাহায্য দেয়ার কথা বলেছেন।
মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দুর সঙ্গে ব্লিংকেন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি যে আমরা অপতথ্যের বিরুদ্ধে জ্বালানি শক্তি এবং কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কারের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে আরও পাঁচ কোটি ডলার প্রদানের জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন. “ আর সেটি মলদোভাকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমের সঙ্গে একাত্মবোধের যে সুযোগ করে দেবে তাতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে এবং আরও বেশি অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে”।
মলদোভার বিচ্ছিন্ন হওয়া ত্রান্সনিস্ত্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই বাইডেনের এই সফর হলো। মলদোভা রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সরকার উত্খাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাদের যোগদানের লক্ষ্যকে বানচাল করার লক্ষ্যে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং অপ-তথ্য প্রচারণার মাধ্যমে মিশ্র যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। রাশিয়া এই সব অভিযেঙাগ অস্বীকার করেছে।
দু’বছরে এই দ্বিতীয় বার ব্লিংকেনের সে দেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে সান্দু একে “সমর্থনের শক্ত চ্হ্নি” বলে অভিহিত করেছেন।
মলদোভা ও ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য তিনি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যা , সান্দু বলছেন, “মলদোভাকে আরও নিরাপদ এবং আরও শক্তিশালী করেছে”।