প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে পিয়ংইয়ং-এর উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বুধবার উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যস্ত রাস্তায়, আবাসস্থলের সামনে এবং অন্যান্য জনবহুল এলাকায় বেলুন ভর্তি মল ও অন্যান্য আবর্জনা ফেলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা পশুর মল ও আবর্জনা ভর্তি প্রায় ২৬০টি বেলুন শনাক্ত করেছে। তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে “অমানবিক এবং হীন” কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বেলুনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ প্রান্তের কাছে জিওলা প্রদেশের দক্ষিণে দেখা গেছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, বেলুনগুলো দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং বুধবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বর্জ্য ভর্তি বেলুনগুলোকে “সত্যিকারের ‘আন্তরিকতার উপহার" এবং উত্তর কোরিয়ার জনগণের ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিবৃতিটি দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের এক মন্তব্যকে উপহাস করে বলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা বলেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার এক্টিভিস্টদের উত্তর কোরিয়ায় লিফলেট প্রদান থেকে বিরত রাখার অক্ষমতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের দোষ দেয়া যায় না।
উত্তর কোরিয়ার একনায়কতান্ত্রিক সরকার বছরের পর বছর দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে যে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ায় পিয়ংইয়ংবিরোধী লিফলেট ও অন্যান্য সামগ্রী উড়িয়ে দিচ্ছে। এসব লিফলেটে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করা হয় বা দেশটির নেতা কিম জং উনকে বিদ্রূপ করা হয় এবং মাঝে মাঝে সেগুলো ডলার বিল বা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভের মতো মূল্যবান আইটেম দিয়ে প্যাকেজ করা হয়।
এই পদক্ষেপগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈরী বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিম সম্ভবত কোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত সংঘাতসহ আরও উস্কানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন- উক্ত বক্তব্যগুলোর কারণে কিছু বিশ্লেষক এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
লি জুহাইয়ুন এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।