বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে সঠিক ভোটার উপস্থিতি জানতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। ৩০ জনকে গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন অনিয়মের জন্য দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
৮৭টি উপজেলা পরিষদে ২৬১টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ৩৯৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪৫৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২৯৯ জন নারী (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির
এদিকে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ অন্য কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হাইকমান্ড।
১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করে দলটি।
উপজেলা নির্বাচন
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ৮ মে এবং দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১ মে।
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।