ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়াই হলো শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ, বললেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের ছবি ২০২৪ সালের ২৮ মে মাদ্রিদের একটি দোকানের টিভিতে দেখা যাচ্ছে।

১৪০টির বেশি দেশের মতো স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড মঙ্গলবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন, পাশাপাশি সংস্কারের উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেছেন এবং “গঠনমূলকভাবে এতে জড়িত হওয়ার কোনো লক্ষণ না দেখানোর জন্য” ইসরায়েলি সরকারকে দোষারোপ করেছেন।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মঙ্গলবার বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্য হচ্ছে “ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি অর্জনে অবদান রাখা।”

স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড গত সপ্তাহে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেয়।

ইসরায়েল গত সপ্তাহে এই পদক্ষেপকে হামাসের জন্য উপহার বলে অভিহিত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল এবং এর প্রতিবাদের তিনটি দেশ থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার বলেন, স্পেন সরকার ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের উস্কানি দিচ্ছে।

মঙ্গলবার সানচেজ বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত “সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস, যা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিরোধী, তাকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যানের প্রতিফলন।”

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ “কারো বিরুদ্ধে নয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তো নয়ই।”

সানচেজ বলেন, স্পেনের অবস্থান ১৯৬৭ সালের সীমান্তকে সমর্থন করে, যদি না ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা পরিবর্তনে সম্মত হয় এবং একটি টেকসই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা হয় যার মধ্যে একটি করিডোর দ্বারা পশ্চিম তীর এবং গাজা সংযুক্ত থাকবে এবং যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।

ডাবলিনের লেইনস্টার হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করা হয়। লেইনস্টার হাউসে আইরিশ পার্লামেন্ট বসে।

পশ্চিমা শক্তিগুলোর কেউ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় না।

মঙ্গলবার কামালা হ্যারিস বলেন, ইসরায়েলের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য ইউরোপ আরও অনেক কিছু করতে পারে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।