বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন যে দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী। “নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন;” বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আরো জানান, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে; এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন।
তিনি আরো জানান, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন। এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন ৫১ জন নারী। এসি (ল্যান্ড) হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত। এছাড়া একজন নারী বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এর মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সব মিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ আছে; সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। “আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে;” বলেন তিনি।
“যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে- পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়, বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন; সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে; কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা অসুস্থ থাকেন। এ সব বিবেচনা করেই পদোন্নতি দিতে হয়;” বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিতে হচ্ছে, তখন যে পদ আছে সেই পদ সংখ্যার চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে।
“কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর, বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়;” যোগ করেন জনপ্রশান মন্ত্রী ফরহাদ।