পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে চাপা পড়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষ, সরকারের তথ্য

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের ছবি, পাপুয়া নিউ গিনির ইয়াম্বালি গ্রামের ভূমিধস এলাকা পার হয়ে অন্যত্র যাচ্ছে মানুষ।এপি।

তিন দিন আগে পাপুয়া নিউ গিনিতে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এই ভূমিধসে দুই হাজারের বেশি মানুষ চাপা পড়েছে। সোমবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, দুর্গম অঞ্চল এবং ত্রাণ পরিবহনের অসুবিধার কারণে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র জাতিসংঘকে লেখা চিঠিতে, চাপা পড়া মাুষের নতুন এই সংখ্যা জানিয়েছে। সোমবার এই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘের অন্য আরেকটি সংস্থা সম্ভাব্য মৃত্যু-সংখ্যা ৬৭০ জনের বেশি বলে জানিয়েছে।

তথ্যের এই ভিন্নতার কারণ হলো, দূরবর্তী অঞ্চল এবং সেখানকার জনসংখ্যার বিষয়ে সঠিক ধারণার অভাব। পাপুয়া নিউ গিনির সর্বশেষ বিশ্বাসযোগ্য আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে। এই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রটির অনেক মানুষ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি গ্রামে বসবাস করেন।

শুক্রবার ভোর তিনটার দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মাইপ-মালিতাকা অঞ্চলের ছয়টি গ্রামে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। তখন সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ভূমিধসে, প্রায় দোতলা বাড়ির সমান উঁচু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে দেড় শতাধিক বাড়ি।

ভূমিধসের ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও, সেখানকার বাসিন্দারা কোদাল, লাঠি ও খালি হাতে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে জীবিতদের সন্ধান করছেন। এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া সোমবার রাতে প্রাথমিকভাবে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বলেছে, তারা উদ্ধার ও পুনর্গঠন কাজে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পাঠাবে।অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ইতোমধ্যেই সরঞ্জাম ও উপকরণ দিয়ে সহায়তা করছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর প্রতি আকৃষ্ট চীন বলেছে, তারা পাপুয়া নিউ গিনির প্রয়োজনের প্রতি মনোযোগ দেবে এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্গঠনে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা করবে।

পাপুয়া নিউ গিনিতে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার মিশন প্রধান সেরহান আকতোপ্রাক বলেন, উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরও, বৃষ্টি, নরম মাটি ও প্রবাহমান পানির কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী দলের জন্য ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে, আমি মনে করি, মানুষ বুঝতে পারছে কাউকে জীবিত বের করে আনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।”