ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা সোমবার বলেছে, গাজার পরিস্থিতি এখন ‘মর্ত্যের নরকের’ মতো। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর এ কথা বলেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি।
ইউএনআরডব্লিউ বলেছে, “আশ্রয়প্রার্থী পরিবারগুলোর ওপর আরো হামলার বিষয়ে রাফা থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা ভয়াবহ। সংস্থাটি আরো বলেছে,“ব্যাপক সংখ্যক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আর, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেয়া একটি এলাকায় চালানো এই হামলায় তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরো কয়েক ডজন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলাকে সুনির্দিষ্ট বিমান আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে।এই হামলায় পশ্চিম তীরের জন্য হামাসের চিফ অফ স্টাফ ইয়াসিন রাবিয়া নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, এই হামলা যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় আটক জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এই হামলার কথা উল্লেখ করে সোমবার বলেন,গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দেয়া আদেশ ‘বাস্তবায়ন’-এর উপায় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। অবিলম্বে রাফায় হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে, হামাসের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল গাজা ছেড়ে যাবে না।
রবিবার হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিব লক্ষ্য করে ‘বড় পরিসরে রকেট হামলা’ চালিয়েছে।
হামাসের ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেড এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, তারা তেল আবিব লক্ষ্য করে “গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে জিওনিস্ট গণহত্যার জবাবে বড় পরিসরে রকেট হামলা চালিয়েছে।”
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি সরবরাহকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং তাদের খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা পূরণের ওপর জোর দিয়েছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।