জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে প্রথম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জাপানের পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক কূটনীতির দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রদূত তাকেতানি আতসুশি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতি বিষয়ক ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন এং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

এ দফার বৈঠকে; উভয় পক্ষ আলোচনার পদ্ধতি এবং পণ্য বাণিজ্য, উৎস বিধি, শুল্ক পদ্ধতি, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিষয়ক বাণিজ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মতো বিস্তৃত ক্ষেত্র সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।

উভয় পক্ষই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা আলোচনার তারিখ নির্ধারণের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার জাপান দূতাবাস।

আলোচনার উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের প্রধান আলোচক ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের সময় জাপানের কাছ থেকে আর্থিক ছাড় পেতে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদন হবে।

প্রস্তাবিত ইপিএ নিয়ে আলোচনার জন্য, বাংলাদেশে বাণিজ্যবিষয়ক আলোচক দল পাঠানোর জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান হাছান মাহমুদ।