রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে এই আগুন লাগে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

রফিক নামে ক্যাম্পের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের বাসস্থান পুড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি।”

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে দোকানসহ পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কামাল হোসেন আরো জানান, জরিপের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে বলে জানান তিনি।

আগের অগ্নিকাণ্ড
এর আগে, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ২২ হাজার মানুষ।

ওই দিন বিকাল তিনটার দিকে, ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ১০ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের কাছাকাছি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছিলেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।

অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেছিলেন, “প্রাথমিক তথ্য মতে, ২ হাজারের মত ঘর পুড়েছে। তবে হতাহতের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। তবে ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

ক্যাম্পের ওই আগুনকে পরিকল্পিত নাশকতা বলে উল্লেখ করেছিলেন রোহিঙ্গারা। আরসা সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা আবলু কামাল, আবদুল গফুর ও শামসুল আলম।

এর আগে, একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিলো। ঐ সময় ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় ৫ শতাধিক মানুষ। আর পুড়ে গিয়েছিলো ৯ হাজারের বেশি ঘর।