ইসরাইলি ও হামাস কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইসিজি’র রায় প্রত্যাখান করলেন বাইডেন

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শিবিরে ইসরাইলি হামলার পর ধ্বসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুরা। মে ২৩,২০২৪।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালেন্ট আর সেই সঙ্গে গাজায় হামাসের তিন জন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার যে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জতিক অপরাধ আদালত (আইসিজি) তা বৃহস্পতিবার নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন। সাত মাস ব্যাপী এই চলমান সংঘাতে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয় যে আ্দালত এ সপ্তাহে যে অভিযোগ করেছে যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রাখছে, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনপ্রমাণ আছে কীনা ।

বাইডেন এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি কিন্তু বলেন, “ আইসিসি যে ভাবে বিচারের কাজ করছে আমরা তাতে স্বীকৃতি দিইনা আর এটাই হচ্ছে সোজা কথা”।

যুদ্ধ যে ভাবে চলছে সে সম্পর্কে বাইডেন, যিনি ইসরায়েলের দীর্ঘ সময়ের সমর্থক বলেন, “আমাদের মনে হয় না যে ইসরায়েল যা করেছে এবং হামাস যা করেছে তাদের মধ্যে কোন সমীকরণ করা যায়”।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সূচনা ইসরাইলের উপর ৭ অক্টোবরের অকস্মাত্ আক্রমণের মধ্য দিয়ে যে আক্রমণে ১২০০ লোক প্রাণ হারান এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। গাজায় পাল্টা আক্রমণে

৩৫,৭০০ ‘র ও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে বলছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন অসামরিক লোকজন এবং যোদ্ধারা্ও।

তবে তারা বলছে যে নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।অস্ত্র বিরতির জন্য আলাপ আলোচনা মাসের পর মাস ধরে চলছে । আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত(আইসিজে)বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে যে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জরুরি অনুরোধ সম্পর্কে তারা শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানাবে।

মিশরের সীমান্তলগ্ন গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফায় ইসরায়েলের আক্রমণের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে।

দক্ষিণ আফ্রিকা জাতিসংঘের এই শীর্ষ আদালতের প্রতি আহ্বান জানান যে তারা যেন ইসরায়েলের প্রতি এই দাবি জানায় যে ইসরায়েল যেন গাজা থেকে নিজেদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন ওই সরু অঞ্চলে জাতিসংঘের কর্মকর্তা, মানবিক সংগঠনসমূহ এবং সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশ করতে দেয়।

এই অনুরোধ হচ্ছে বৃহত্তর মামলারই অংশ যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে।

ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে এ হচ্ছে “জেনোসাইড কনভেনশনের অশালীন ব্যবহার”।