ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পশ্চিম তীরে সাতজন নিহত, জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা

পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সামরিক যান দেখা যায়। ২১ মে, ২০২৪।

মঙ্গলবার ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়েছে এবং গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাস জঙ্গিদের সাথে লড়াই করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োগ গ্যালান্ট তার এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের শীর্ষ প্রসিকিউটরের একটি পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানায়, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী সাতজনকে হত্যা করেছে। জেনিন সরকারি হাসপাতালের প্রধান জানান, নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন সার্জিক্যাল চিকিৎসক।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জঙ্গিদের লক্ষ্য করে একটি অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে এবং বলেছে, তাদের বাহিনী বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে গুলি করেছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফায় ইসরায়েলি স্থল সেনা ও ইসরায়েলি বিমান লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে এবং সেনারা গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিদের সাথে লড়াই করছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গ্যালান্ট তার ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, প্রসিকিউটরের এই পদক্ষেপ ‘ঐতিহাসিক অনুপাতে নৈতিক অবমাননা।’

সোমবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের আবেদন ‘আপত্তিকর।’

পৃথক এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। তিনি ইসরায়েলকে হামাসের সাথে তুলনা করার আইসিসির পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশ কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হামাসও আইসিসির প্রসিকিউটরের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায় এবং ওই প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ’ভুক্তভোগীকে খুনির সাথে তুলনা করার’ চেষ্টা করার অভিযোগ জানায়।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, গত দুই সপ্তাহে গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে রাফা থেকে প্রায় ৮ লাখ ১২ হাজার মানুষ এবং গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এক লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।