ন্যায্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ ও সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ণের জন্য, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)।
সোমবার (২০ মে) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এসময় বিজিএমইএ সভাপতি এ আহবান জানান।
আইএলওর নেতৃত্বে চলমান উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে; বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের জন্য কাজের পরিবেশ উন্নত করা এবং তাদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড।
বৈঠকে, শিল্পের আরো বিকাশের জন্য, ‘ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভ’ এর মতো প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে, কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইএলও। বিজিএমইএ’র সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
এ সময় দুই পক্ষ, সামাজিক ও কারিগরি নিরীক্ষার জন্য সর্বজন স্বীকৃত একটি সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অফ কন্ডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করে।
বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সুবিধার্থে, এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আইএলও-এর প্রতি আহবান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
পোশাকের ন্যায্য ন্যূনতম মূল্যের ওপর জোর দেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান। তিনি বলেন, “মূল্য নির্ধারণের এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া শিল্প দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে না।”
বিজিএমইএ সভাপতি শ্রমনির্ভর পোশাকখাতে ন্যায্য মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আইএলওকে বৈশ্বিক ফোরামে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি তুলে ধরার আহবান জানান।
বৈঠকে আইএলওর প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ আনিস আগুং নুগরোহো, প্রোগ্রাম ও অপারেশন অফিসার লিনিয়া স্ট্র্যান্ড এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম।