মোহাম্মদ মোখবারঃ ইরানের এই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কে ?

ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ২০ মে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ফাইল ছবি।

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

৬৮ বছর বয়সী মোখবার ইরানের শিয়া ধর্মতন্ত্রের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের তুলনায় অনেকটাই ছায়ায় ছিলেন। সংবিধানের অধীনে রাইসির মৃত্যু মোখবারকে জনসমক্ষে ঠেলে দেয়। ইরানে বাধ্যতামূলক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৫০ দিন আগে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রবিবারের দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি মোখবারের নিয়োগের ঘোষণা দেন।

সোমবার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি পাওয়া যায়।

স্বল্প-গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্রোফাইল সত্ত্বেও মোখবার দেশের ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে, বিশেষত এর দাতব্য ফাউন্ডেশনগুলোতে বিশিষ্ট পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

এই গোষ্ঠীগুলো ইরানের ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পরে বিশেষত যারা পূর্বে ইরানের শাহ বা তার সরকারের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত অনুদান বা সম্পদ দিয়ে পরিচালিত হতো।

ইআইকেও-র প্রধান হিসেবে মোখবার মহামারির ভয়াবহ অবস্থার সময় একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টার তদারকি করেছিলেন, সেটির কয়েক মিলিয়ন ডোজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর কেবল একটি ভগ্নাংশ জনসাধারণের কাছে পৌঁছেছে।

মোখবার আগে ব্যাংকিং ও টেলিকমিউনিকেশনে কাজ করতেন। তিনি মোস্তাজাফান ফাউন্ডেশনেও কাজ করেছেন। এটি দেশটির মেগা-প্রকল্প এবং ব্যবসা পরিচালনা করে এমন একটি প্রধান সংস্থা।

সেখানে কাজ করার সময় তিনি মোবাইল ফোন পরিষেবা সরবরাহকারী টার্কসেল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এমটিএন-এর মধ্যে ইরানের বাজারে সম্ভাব্য প্রবেশের বিষয়ে তিক্ত আইনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

এমটিএন শেষ পর্যন্ত ইরানে প্রবেশ করে। টার্কসেল অভিযোগ করেছে, মোখবার টার্কসেলের বিরুদ্ধে এমটিএনের সাথে সম্ভাব্য কাজ করার বিনিময়ে “নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম” সুরক্ষিত করতে এমটিএনের সহায়তা চেয়েছিলেন।

ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী মোখবার তেল শিল্পের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরানের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।