গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত, একাধিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত

Your browser doesn’t support HTML5

মধ্য গাজার নুসেইরাতের শহুরে অঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে আগের রাতে ইসরায়েলি হামলার পর, সেখানকার সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের বিধ্বস্ত ভবনগুলির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করতে দেখা গেছে।

নিকটবর্তী শহর দেইর আল-বালাহতে অবস্থিত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, এই হামলায় ৮ নারী ও ৪ শিশুসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। এই হাসপাতাল মৃতদেহগুলো গ্রহণ করে।

নুসেইরাতের দালান-কোঠা দিয়ে তৈরি এই শরণার্থী শিবিরটি ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়কার।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জরুরী পরিষেবা অনুযায়ী, নুসেইরাতেই পৃথক এক হামলায় আরও ৫ জন নিহত হয়েছে।

আরেকটি হামলায় জাহিদ আল-হাওলি নামে একজন হামাস-চালিত পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রবিবার উত্তর গাজা জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এখন অষ্টম মাসে প্রবেশ করেছে। এদিকে যুদ্ধ শেষ হলে কে গাজা শাসন করবে তা নিয়ে ইসরায়েলি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১,২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করার পর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সূচনা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ ও বোমাবর্ষণ ৩৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নিহতদের সিংহভাগ নারী এবং শিশু।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরায়েল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।