চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসে তাণ্ডব চালালো তীব্র ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ে কমপক্ষে চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। হিউস্টন এলাকায় একাধিক ভবনের জানালা চুরমার হয়ে গেছে, গাছপালা উপড়ে গেছে এবং ৯ লক্ষের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের রাস্তা থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করেন কেননা বহু রাস্তাই চলাচলের অযোগ্য ছিল এবং রাতের অধিকাংশ সময়জুড়ে রাস্তায় আলো থাকবে না বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।
হিউস্টনের মেয়র জন হুইটমায়ার সান্ধ্যকালীন ভাষণে বলেন, “আজ রাতে বাড়িতে থাকুন। আপতকালীন কর্মী না হলে আগামিকাল কাজে যাবেন না। বাড়িতে থাকুন, শিশুদের যত্ন নিন। আমাদের উদ্ধারকর্মীরা ২৪ ঘন্টা কাজ করবে।”
মেয়র বলেন, ঝড়ে্র কারণে চারজন মারা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাছ চাপা পড়ে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। জোরালো বাতাসে ক্রেন উড়ে গিয়ে আরেকজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এই অঞ্চল জুড়ে সড়ক জলমগ্ন, গাছ ভূপাতিত হয়েছে এবং বিদ্যুতের দশা বেহাল। হুইটমায়ার বলেন, ঝড়ের গতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে পৌঁছেছিল। তিনি বলেন, এই শক্তিশালী ঝড় ২০০৮ সালের হারিকেন আইকের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। হারিকেন আইক এই শহরকে তছনছ করে দিয়েছিল।
শহরের কেন্দ্রস্থলে একাধিক হোটেল ও অফিস ভবনের শয়ে শয়ে জানালা গুঁড়িয়ে গেছে। নিচে রাস্তায় কাচের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে। এই এলাকাকে সুরক্ষিত করতে জননিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে প্রাদেশিক প্রশাসন।
হুইটমায়ার বলেন, “শহরের কেন্দ্রস্থল তছনছ হয়ে গেছে।”
পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ৯১১ নম্বরে ব্যাকলগ ছিল, তবে কর্মীরা কাজ করে চলেছে।
হিউস্টন ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট শুক্রবার তাদের ২৭৪টি ক্যাম্পাসে ক্লাস বাতিল করে দিয়েছে। এদের শিক্ষার্থী প্রায় ৪ লক্ষ।
হ্যারিস কাউন্টির অভ্যন্তরে ও বাইরে প্রায় ৯ লক্ষ বাড়িতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। এই কাউন্টিতে ৪৭ লক্ষের বেশি মানুষের বসবাস।