বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন যে বিএনপি তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের দালালি করেছে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করেছে।
“বিএনপি যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আল-বদরদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করতো; তারা পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে অত্যাচার করতো;” বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (১৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, আখাউড়া উপজেলায়, তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, এখন জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে; তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য তাদের মাথা খারাপ হয়েছে। “বিএনপির সময় ঋণ খেলাপির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিলো;” বলেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী।
মির্জা ফখরুল: ‘বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ভারত’
অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা লংমার্চ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের প্রতিবেশী (ভারত) জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সব সময় তাদের সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু ফারাক্কা বাঁধ নয়, গঙ্গার পানি নয়, ১৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে বরাবরই গাফিলতি করছে। তারা সমস্যার সমাধান করছে না।”
ভারতের সঙ্গে পানি সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে শুধু বিদেশি প্রভুর স্বার্থ হাসিলের জন্য।আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে এবং কালক্ষেপণ করছে বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই ব্যর্থতার মূল কারণ এটি সম্পূর্ণরূপে একটি আজ্ঞাবহ সরকার। অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায়, ভারতের সঙ্গে দর-কষাকষিতে জনগণের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নিতে তারা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।”