বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, চামড়া শিল্পে মানের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্য ট্যানারি অ্যান্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ ছাড়াও চামড়া শিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনো কিছু দিয়েই পূরণ হওয়ার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”
অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন তিনি।
চামড়া শিল্পকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন ট্যানারি ও চামড়া খাতের স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ ও সরকারি প্রতিনিধিরা।
সংলাপে আরও ছিলেন- বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউট অফ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড. ফাহমিদা খানম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ও যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড. মিশাল ক্রেজা।