তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র একটি অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে

তাইওয়ানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির লাই চিং-তে

বাইডেন প্রশাসন বুধবার ঘোষণা করেছে যে হোয়াইট হাউজ এই সপ্তাহান্তে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে সেখানে একটি অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধিদল পাঠাবে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা চীনকে বিরক্ত করবে নিশ্চিত তবে বেইজিংয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ দুটি দেশ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

হোয়াইট হাউজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সোমবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদলের মধ্যে দুই প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং একজন বুদ্ধিজীবি থাকছেন। তাইওয়ানের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির লাই চিং-তে একই দলের সাই ইং-ওয়েনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

বেইজিং, তাইওয়ানকে চীনা ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দেখে এবং একীকরণ অর্জনের জন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে দ্বীপটি দখল করার সংকল্প ব্যক্ত করে , লাইকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার সমর্থক হিসাবে দেখে এবং দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন এবং তাইপেইয়ের মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের বিরোধিতা করে আসছে।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, "২০ মে এবং তার পরে যুক্তরাষ্ট্র নতুন তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে কীভাবে আচরণ করবে তা প্রণালীর অপর পারের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।" মঙ্গলবার ঘোষণার আগে তাইওয়ান প্রণালীর কথা উল্লেখ করেন মুখপাত্র লিউ পেংইউ।

তিনি বলেন, "সুতরাং আমরা যুক্তরাষ্ট্র পক্ষকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন না করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিশ্রুতিতে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি।”

সফরের বিস্তারিত ঘোষণা করার আগে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদদাতাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দল আমেরিকান জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাইপেইতে থাকবে। কর্মকর্তা তাইওয়ানকে "শুধু এই অঞ্চলে নয়, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের একটি মডেল" বলে অভিহিত করেছেন।

বেইজিং বারবার ওয়াশিংটনকে তাইওয়ানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য সতর্ক করেছে, যা চীন বলছে তাদের জন্য একটি মূল স্বার্থ, কারণ তা হচ্ছে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়। তাইওয়ানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলে আসছে যে কোনো মতপার্থক্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হোক এবং স্থিতাবস্থায় উভয় পক্ষের যেকোনো একতরফা পরিবর্তনের বিরোধিতা করে। প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না। "আমরা প্রণালীর দু পারের মধ্যে সংলাপ সমর্থন করি।"