ভারতের মুম্বাই (সাবেক বোম্বে) মহানগরে ঝড়ে বিশালাকার বিলবোর্ড ভেঙ্গে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়েছিলো সোমবার। তাৎক্ষনিকভাবে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিলো। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, বিলবোর্ড সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরের পর ধূলিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয় বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে। ঝড়ের ধাক্কায় উপড়ে পড়ে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু বিলবোর্ড। তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিলো, বহু মানুষ চাপা পড়েছেন বিলবোর্ডের নিচে। ঘটনার পর উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। খবর দেয়া হয় এনডিআরএফ সদস্যদের।
জানা গেছে, বিলবোর্ডটি ছিলো মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের পাশে। এই দুর্যোগের একাধিক ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে দেখা গেছে, একটি পেট্রোল পাম্পের ওপর ভেঙে পড়ছে বিশালাকার বিলবোর্ড।
তাতে চাপা পড়েন বহু মানুষ। বেশ কয়েকটি গাড়িও বিলবোর্ডের নিচে আটকে পড়ে। এনডিআরএফ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা, আহত ৬০ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভেঙে পড়া বিলবোর্ডটি তৈরি করেছিল ইগো মিডিয়া নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা। এর পাশে আরো চারটি বিলবোর্ড ছিলো। ঝড়ো হাওয়ায় সবচেয়ে বড়টি ভেঙে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
বিলবোর্ডটি যথাযথ নিয়ম মেনে ও অনুমতি নিয়ে বসানো হয়েছিলো কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর মহরাষ্ট্র সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
মঙ্গলবারও দুর্যোগ ছিলো মুম্বাই মহানগরে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলে, ঘাটকোপার, বান্দ্রা কুরলা, ধারাভি এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া, মুম্বাই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঝড়ের পাশাপাশি আরো বজ্র-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।