বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৩-৭৪ সালে সৌদি আরব গিয়েছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা। তাদের পাসপোর্ট নবায়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে সৌদি আরব।
রবিবার (১২ মে) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন সৌদি স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “বহু বছর আগে, ১৯৭৩-৭৪ সালে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরব যায়। সঠিক সংখ্যাটি আমাদের অজানা। সৌদি পক্ষ আমাদের জানিয়েছিলো যে এই সংখ্যা ৬৯ হাজার। কিছু কম বেশি হতে পারে।”
সৌদি প্রবাসী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না; তবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে হবে। এই বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান।
“রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে আমরা কোথাও ধীরগতিতে এগোচ্ছি কি না, কোনো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কি না বা কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না, তা দেখতে তিনি (সৌদি উপমন্ত্রী) এখানে এসেছেন;” জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান।
পাসপোর্টের তথ্য অপরিবর্তিত রেখে সেগুলো নবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। বলেন, সৌদি সরকারের আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তারা লোকজন ফেরত পাঠায়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”
নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। “রোহিঙ্গা ইস্যুতে সৌদি আরব সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে;” উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান।
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব; আরো জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।