চীন অপপ্রচারের জন্য অ্যাপ ও গেম ব্যবহার করছে: অস্ট্রেলিয়ার সমীক্ষা

তেমু ওয়েবসাইটের একটি পাতা। ফাইল ফটোঃ ২৩ জুন, ২০২৩।

অস্ট্রেলিয়ার এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপের (এই ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে টিকটক-কে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছিল) দিকে চীনের নজরদারি শুধুমাত্র জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই, বরং অন্যান্য অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম, এমনকি অনলাইন গেম-এর মাধ্যমেও নজরদারি করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিউট একটি গবেষণা সংস্থা। এই সংস্থা অস্ট্রেলিয়া সরকার ও অন্যান্য দেশ থেকে তহবিল পায়। ২ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম ও জনপ্রিয় অনলাইন গেম থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে বেইজিং-এর অপপ্রচারকারী কর্মকর্তারা চীনের একাধিক প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।

তাদের তালিকায় রয়েছে রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ ডিআইডিআই, মারপিটের গেম জেনশিন ইমপ্যাক্ট ও জনপ্রিয় অনলাইন বাজার তেমু।

অস্ট্রেলীয় সমীক্ষার দাবি, চীনের লক্ষ্য হল গণমাধ্যম, গেমিং, কৃত্রিম মেধা ও নতুনভাবে উঠে আসা অন্যান্য প্রযুক্তি থেকে “কৌশলগতভাবে মূল্যবান” তথ্য সংগ্রহ করা।

তারা বলছে, “বৈশ্বিক তথ্যগত বাস্তুতন্ত্রের ছাঁচ বদলে দিতে, ক্ষমতায় তাদের বজ্রমুষ্টি মজবুত করতে, তাদের ক্রিয়াকলাপকে বৈধতা দিতে ও চীনের সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব জোরালো করতে চীন বিদেশের মাটিতে তাদের প্রভাব সম্প্রসারণের কাজ করছে।”

চীনের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বেইজিং এর আগে বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিতর্ক ও সমস্যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিরুদ্ধে “চীন-বিরোধী হিস্টিরিয়া”র অভিযোগ তুলেছিল।

এই প্রতিবেদনে “ভবিষ্যতে চীনের তথ্য সংগ্রহের অভিযানকে রুখতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে ও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে” নীতি-নির্ধারকদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এই সমীক্ষায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে, চীনের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম টিকটক-কে অনেক মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এই উদ্বেগের কারণে যে, ব্যবহারকারীর যে তথ্য এরা সংগ্রহ করে তা চীনের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, সমস্যা “শুধুমাত্র টিকটকের চেয়ে অনেক গভীরে প্রসারিত হয়েছে।”

টিকটকের চীনা মালিক বাইটডান্স চীন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।

গত বছর অস্ট্রেলিয়া বলেছিল, নিরাপত্তা ও নজরদারির ভয়ের কারণে মোবাইল ফোনসহ সরকারি যন্ত্রপাতিতে তারা টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে।