বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা জানেন তিস্তা নিয়ে আমরা একটা বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত। আমাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ দেখতে চাই।”
তিস্তার পানি নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ভারত সফর করবেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “ভারতে নির্বাচন চলছে। নতুন সরকার গঠন করা হবে এবং তারপরে সফরের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি না কি বেইজিং সফর আগে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেখুন, দিল্লি আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকেই ভারত সফরের কথা রয়েছে। কিন্তু, সেখানে যেহেতু ইলেকশন, সেই ইলেকশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে সেটি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।”
কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, জুনের শেষ দিকে প্রতিবেশী দেশটির নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সম্ভব না হলেও জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক পর্যায়ে সদিচ্ছার অভাব নেই।
তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছি।”
হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র যখন কাছাকাছি থেকে ব্যবহার করা হয় তখন তা প্রাণঘাতী অস্ত্রের মতো কাজ করে।
তিনি বলেন, ভারতের ভিসা যেন দ্রুত হয় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা আন্তরিক এটি সহজতর করার জন্য।
তিনি জানান, নেপাল ও ভুটান থেকে ভারতের মধ্যে দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বুধবার ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। এক বিশেষ ফ্লাইটে সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।