যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এমন উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ইসরায়েলে বোমার চালান বন্ধ করে দিয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জঙ্গিরা বন্দি করার পর তা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। ত্রাণ চালান স্থগিত করা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্বের স্পষ্ট প্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষার জন্য আরও অনেক কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কয়েক মাসের বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুর সরকার রাফা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়ায় এপ্রিলে বাইডেন প্রশাসন ভবিষ্যতে সামরিক সহায়তার হস্তান্তর পর্যালোচনা শুরু করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, এই চালান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে নেয়া হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে চালানটি হস্তান্তর করা হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কয়েক দিন ধরে স্থগিত স্থানান্তর সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করছিলেন। মঙ্গলবার বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকে “এমনকি যখন আমরা একমত নই তখনো তা লৌহকঠিন” বলে অভিহিত করেছিলেন।
প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন-পিয়ের ইসরায়েলের সমর্থনে বাইডেনের বাগাড়ম্বরের সাথে অস্ত্র আটকে রাখলে অস্বীকার করে বলেন, কেবল “দুটি বিষয় সত্য হতে পারে।”
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনারা গাজার গুরুত্বপূর্ণ রাফা সীমান্ত ক্রসিং-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। হোয়াইট হাউস বলেছে, শহরটিতে ইসরায়েলি আক্রমণ সীমিত করা হয়েছে। সম্প্রতি সোমবার নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপে বাইডেন বারবার মানবিক কারণে রাফায় হামলা না চালাতে আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।