প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইসলামকে শান্তির ধর্ম আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মদ, জুয়া, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো কারও এমন কিছু করা উচিত নয়, যা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।”

বুধবার (৮ মে) রাজধানী ঢাকার আশকোনায় হজ কার্যক্রম ২০২৪ (১৪৪৫ হিজরি) উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রথম হজ ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম, যা সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে মুষ্টিমেয় কিছু লোক জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইসলামের বদনাম করে। “আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করি।”

তিনি বলেন, দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালনের সমান অধিকার ভোগ করবে।

পবিত্র হজ পালনের সময় হজযাত্রীদের বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসা আলদুহাইলান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার।

উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজে যাবেন।

৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দর পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমান ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১১৭টি হজপূর্ব ফ্লাইটের মাধ্যমে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে। আর বাকি হজযাত্রীদের জন্য ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইট পরিচালনা করবে সৌদি আরবের ফ্লাইনাস বিমান সংস্থা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।