গাজায় যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সম্মতির পর ইসরায়েল রাফায় আক্রমণ 'অনুমোদন করেছে'

গাজার দক্ষিণে রাফা শহরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। ফটোঃ ৬ মে, ২০২৪।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন, দেশের সরকার গাজার দক্ষিণে রাফায় সামরিক অভিযান অনুমোদন করেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী ঐ অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করেছে। মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস মেনে নেয়ার ঘোষণা আসার কয়েক ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু করার ঘোষণা আসে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব “ইসরায়েলের মুখ্য দাবী থেকে অনেক দূরে” কিন্তু তারপরও, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে।

কয়েক ঘণ্টা আগে, ইসরায়েল এক লক্ষ ফিলিস্তিনিকে গাজার দক্ষিণে রাফা থেকে সরে যাবার আদেশ দেয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মিত্র রাফা অভিযানের বিরোধিতা করেছে। রাফায় প্রায় ১৪ লক্ষ ফিলিস্তিনি, যা গাজার মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক, আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সম্মতির খবর শুনে রাফার মানুষ আনন্দে ফেটে পরে এই ভেবে যে, হয়তো এখন আর আক্রমণ হবে না।

হামাসের সম্মতি

দিনের আরও আগে হামাস জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ স্থগিত করতে তারা মিশরীয়-কাতারি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

এই গোষ্ঠী সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মিশরের গোয়েন্দামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে এই খবর জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় মধ্যস্থতা করে আসছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা শহর খালি করা শুরু করতে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, রাফা হল হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।

হামাসের ঐ ঘোষণার খবরে রাফার রাস্তায় মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এই প্রস্তাবের বিস্তারিত বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে, গত কয়েক দিনে মিশর ও হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হবে কয়েকটি ধাপে; গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিনিময়ে হামাস আটক জিম্মিদের মুক্তি দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।