আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই আসরে থাকছে ১০টি দেশের নারী দল; খেলবে ২৩টি ম্যাচ। টুর্নামেন্ট চলবে ১৮ দিন।
এই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ২০২৩ সালের রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক বাংলাদেশ উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে কোয়ালিফায়ার-২ এর বিপক্ষে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে।
দ্বিতীয় দিন ৪ অক্টোবর সিলেটে কোয়ালিফায়ার ১-এর বিপক্ষে এই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ৬ অক্টোবর সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ।
ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসর বসতে যাচ্ছে। ২০ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা নামবে এই আয়োজনের।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেন, “নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
এ সময় বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটকে বদলে দিতে এবং বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের ভক্তদের অনুপ্রাণিত করতে টুর্নামেন্টের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এই আয়োজন করতে পেরে গর্ব প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আইসিসি বিশ্বকাপ ফিরিয়ে আনা সত্যিই রোমাঞ্চকর।”
“নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশ ও দেশের বাইরে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার একটি গৌরবময় সুযোগ এনে দিয়েছে;” যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা এবং ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর উভয়ই আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য তাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ভক্তদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন তারা।
হরমনপ্রীত বলেন, “এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।”
“গত কয়েক বছরে নারী ক্রিকেটের উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে নারী বিশ্বকাপগুলো অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের মতো বিশ্বকে আনন্দ দেয়ার ক্ষেত্রে এই আসর আলাদা হবে না;” আরো বলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো মর্যাদাপূর্ণ আসর আয়োজন করতে পারা বাংলাদেশের জন্য সম্মানের বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার।
তিনি বলেন, “নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণায় আমরা রোমাঞ্চিত। দেশের জন্য, এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ আসর আয়োজন করা সম্মানের, যেখানে আমাদের উৎসাহী ভক্তরা আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটের সেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।”