মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ২০২২ সালের বিক্ষোভের সময় রেভল্যুশনারি গার্ডের হাতে এক কিশোরী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ও তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইরানের বিচার বিভাগ প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তেহরানের নীতি পুলিশ তাকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নারীদের জন্য কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়া ১৬ বছর বয়সী নিকা শাকারামির মৃতদেহ এক সপ্তাহ পর খুঁজে পাওয়া যায়।
সে সময় ইরান কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের সাথে এই মৃত্যুর সম্পর্ক অস্বীকার করে বলেছিল, তিনি একটি ভবন থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে বিবিসির এক প্রতিবেদনে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন ও হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক নিবন্ধে বিবিসি জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।
ইরানের বিচার বিভাগের অনলাইন ওয়েবসাইট মিজানে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, “নিকা শাকারামিকে নিয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ডের তথাকথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়, গণমাধ্যম আউটলেটটি সত্য ও বাস্তবতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।”
তেহরানের লিগ্যাল মেডিসিন অর্গানাইজেশনের বেশ কয়েকটি ছবি ও নথি সম্বলিত বিচার বিভাগের ওই বিবৃতিতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
আমিনির মৃত্যুর পরে কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভে কয়েক ডজন নিরাপত্তাকর্মীসহ শত শত মানুষ নিহত হয় এবং আরও হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইরানি কর্মকর্তারা এই বিক্ষোভকে দাঙ্গা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং তেহরানের বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে অস্থিরতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ করেছেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা এবং তাদের ওপর সংঘটিত অন্যান্য সহিংসতার অভিযোগে নয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।