মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা করেন যে তাঁর দেশ এই দশকের শেষ নাগাদ তার প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট অভ্যন্তরীন উত্পাদনের ২.৫% বৃদ্ধি করবে।
সুনাক পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস’তে তাঁর সফরকালে এই ঘোষণা দেন। তিনি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দেন।
তিনি বলেন তাঁর সরকার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা শিল্পকে “যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে” এবং এটিকে “আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষাকে এই প্রজন্মের সবচেয়ে শক্তিশালী” বলে বর্ণনা করেছেন।
ওয়ারস’তে নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সুনাক বলেন, “ শীতল যুদ্ধের পর বিশ্ব এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে, আমরা এতে আত্মতুষ্টি পেতে পারিনা। আমাদের প্রতিপক্ষরা যখন জোট বাঁধছে আমাদেরকেও আমাদের দেশ রক্ষার জন্য , আমাদের স্বার্থের জন্য আমাদের মূল্যবোধের জন্য আরও কিছু করতে হবে”।
এই ঘোষণার আগে ব্রিটেন ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সরবরাহের জন্য আরও ৬২ কোটি ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই সরবরাহের মধ্যে রয়েছে দূর পাল্লার ক্ষেপেণাস্ত্র এবং ৪০ লক্ষ রাউন্ড সাজ সরঞ্জাম। এটি এমন এক সময় যখন ইউক্রেন যুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় সম্মুখ রেখায় এগিয়ে আসা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেকে অটুট রাখতে ইউক্রেনকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
সুনাক এই সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং “রাশিয়ার নৃশংস ও সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্খার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় দ্রুত সহযোগিতা করতে তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন”।
এই সফরের আগেই ব্রিটেনের সরকার জানিয়েছিল যে সুনাক ৫০ কোটি পাউন্ড( ৬২ কোটি ডলার অর্থাত্ ৫৮ কোটি ইউরো)’এর নতুন সামরিক সরবরাহ প্রদান করবে যার মধ্যে রয়েছে ৪০০ টি যানবাহন, ৬০টি নৌকিা, ১০০ টি অস্ত্র-শস্ত্র এবং ৪০ লক্ষ রাউন্ড গোলা বারুদ। এই সরবরাহে থাকবে ব্রিটিশ স্ট্রম শ্যাডো নামের দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা ১৫০ মাইল অবধি যেতে পারে এবং রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর উপর আ্ঘাত হানতে সমর্থ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, “ব্রিটেনের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন নতুন এই সামরিক সহায়তা সাধারণ ইউক্রেনীয়রা যারা তাদের দেশকে রক্ষা করতে সীমান্তে লড়াই করছে তাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হবে।
তবে ডাউনিং স্ট্রিট এমন কোন আভাস দেয়নি যে এই সহায়তা অবিলম্বে পাঠানো হবে কী না। জেলেন্সকি আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়ে বলেছেন যে এই সহায়তা ছাড়া তার দেশ এই যুদ্ধে হেরে যাবে।