আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে. কবিতার কারা-হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দেয়া আদালতের এক সিদ্ধান্তের কারণে, ৭ মে পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে থাকতে হবে।
কেজরিওয়াল এবং কে. কবিতা ছাড়াও, গোয়ার নির্বাচনের সময় আম আদমি পার্টির তহবিল সংগ্রাহক চানপ্রীত সিংকে সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফরমে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করা হয়।
আম আদমি পার্টির আহবায়ক কেজরিওয়াল তার ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আবেদনে করেছিলেন। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তার স্ত্রী সুনীতার উপস্থিতিতে প্রতিদিন ডায়াবেটিস সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য ব্যক্তিগত ডাক্তারের সঙ্গে ১৫ মিনিট কথা বলার অনুমতি চেয়েছিলেন।
আদালত তার ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ইনসুলিন দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে। তার পর, সোমবার থেকে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স-এর ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে সামান্য পরিমাণ ইনসুলিন দেয়া হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স-এর চিকিৎসক ঠিক করবেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ইনসুলিন প্রয়োজন আছে কিনা। পরে, রাতেই কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তাররা।
আদালতের আদেশ ও ডাক্তারদের সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠেছে, ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ইনসুলিন দিচ্ছিলো না। এই বিষয়ে সোমবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ।
কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা অভিযোগ করেছেন, ইনসুলিন না দিয়ে জেলে তার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এই অভিযোগের জবাব দিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। বলেছে, বাড়ির খাবার খেয়ে সুগার বাড়িয়ে ফেলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, আম আদমি পার্টির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কারাগারের কর্মকর্তারা দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কথায় চলছেন।