হামাসের অক্টোবর মাসের হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি আক্রান্ত জায়গা থেকে এক নারী ও এক শিশুকে সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। ৭ অক্টোবর, ২০২৩। ফাইল ছবি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ইসরায়েলের গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধানের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

মেজর জেনারেল আহারন হালিভা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করেছেন। হামাস জঙ্গিদের ঐ আক্রমণে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জনকে হামাস জিম্মি করে।

সামরিক বাহিনী সোমবার হালিভার একটি পদত্যাগপত্র প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে, তিনি পদত্যাগ করবেন এবং তার স্থলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে অবসর নেবেন।

হালিভা প্রথম উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যিনি এই হামলার ঘটনায় পদত্যাগ করলেন।

ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে একটি প্রচারণার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, হামাসকে নির্মূল করা এবং জঙ্গিরা ইসরায়েলে আরও হামলা যাতে চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করাই ইসরায়েলের লক্ষ্য।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি অভিযানের ফলে গাজার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং গাজার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জনগণ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনা অভিযানে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইহুদিদের পাসওভারের ছুটির প্রাক্কালে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে “অতিরিক্ত ও কষ্টকর” আঘাত দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, “আসছে দিনগুলোতে আমরা হামাসের ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়াবো কারণ এটিই আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার একমাত্র উপায়।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার সময় অপহৃত কিছু জিম্মিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।

রবিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে তিনজন ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে; জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ওপর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ঘন ঘন অভিযান, ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে ইহুদি সেটেলারদের তাণ্ডব এবং ইসরায়েলি সেনাদের ওপর ফিলিস্তিনিদের প্রাণঘাতী হামলা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।