মালদ্বীপে ভারত-চীন দ্বন্দ্বের ছায়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট গণনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফটোঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪।

রবিবার মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভোটের মাধ্যমে বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য সুপরিচিত এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর অবলম্বন করা কৌশলের অগ্নিপরীক্ষা হবে — দীর্ঘ দিনের উপকারী বন্ধু ভারত থেকে সরে চীনের দিকে ঝোঁকা।

যারা সবার আগে ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ৪৫-বছর বয়স্ক মুইজ্জু রাজধানী মালে’র তাজউদ্দিন স্কুলে ভোট দেন।

মুইজ্জু গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চীনপন্থি হিসেবে বিবেচিত আবদুল্লা ইয়ামিনের বদলী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আদালত দুর্নীতি মামলায় ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করলে গত সপ্তাহে তিনি মুক্তি পান।

এ মাসে নির্বাচনী প্রচারণা যখন তুঙ্গে, তখন মুইজ্জু চীনের কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানকে উচ্চ-পর্যায়ের অবকাঠামো নির্মাণের কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন।

তার প্রশাসন মালদ্বীপে মোতায়েন করা ৮৯ জন ভারতীয় সেনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এই সেনারা নয়াদিল্লির দেওয়া গোয়েন্দা উড়োজাহাজের মাধ্যমে মালদ্বীপের সুবিশাল সামুদ্রিক সীমানায় টহল দিতেন।

বর্তমান পার্লামেন্টে মুইজ্জুর পূর্বসূরি ইব্রাহীম মোহামেদ সোলিহ’র ভারতপন্থী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) আধিপত্য রয়েছে। সংসদ এই দ্বীপপুঞ্জের কূটনীতির নতুন পথ আটকানোর চেষ্টা করছে।

মুইজ্জুর এক জ্যেষ্ঠ সহযোগী এএফপিকে বলেন, “রবিবার নির্বাচনের জন্য দলগুলো যখন প্রচারণা চালাচ্ছে, তখন নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করছে ভূরাজনীতি।”

“তিনি ভারতের সেনাদের ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসেছেন এবং তিনি এটা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্লামেন্ট তার সঙ্গে সহযোগিতা করছে না’।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইনপ্রণেতারা তার মনোনীত তিন প্রার্থীকে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে দেয়নি এবং তার কিছু ব্যয় প্রস্তাব নাকচ করেছে।

মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) সহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদের কারণে কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।