ব্লিংকন: রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন

ফা্চইল- চীনের বেইজিং এ একটি বানিজ্য কেন্দ্রে যেখানে রাশিয়ার পণ্য রাখা হয় সেখানে একটি লোক কিছু জিনিষ নিয়ে প্রবেশ করছে। ১ এপ্রিল, ২০২২।

ইটালির ক্যাপ্রিতে জি-সেভেন মন্ত্রীদের বৈঠকে শুক্রবার যক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন চীন হচ্ছে রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রের প্রধান সরবরাহকারী দেশ। রাশিয়া যখন ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে তখন চীন অস্ত্রের উপাদানগুলো রাশিয়াকে সরবরাহ করে চলেছে।

তিনি বলেন, “ রাশিয়ার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই মূহুর্তে চীনই প্রধান অবদান রাখছে রাশিযার প্রতিরক্ষায় । আমরা লক্ষ্য করছি চীন ‍খুচরা যন্ত্রপাতি, সেমি কন্ডাক্টার এবং দ্বৈত ব্যবহার করা যায় এমন সব সামগ্রী রাশিয়াকে দিচ্ছে যা রাশিয়াকে তার প্রতিরক্ষা শিল্পের পুনর্নিমাণে সাহায্য করেছে। রাশিয়ার রউপর নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তার প্রতিরক্ষার মানকে নামিয়ে এনেছিল”।

ব্লিংকেন বলেন চীন দু’পক্ষকে খুশি করে চলতে পারে না- রাশিয়াকে সাহায্য করা এবং ইউরোপের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখা।

ইটালির ক্যাপ্রি দ্বীপে জি সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে ব্লিংকেন বলেন, “চীন যদি একদিকে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক চায় তা হলে অন্যদিকে সে শীতল যুদ্ধের পর ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য যে সব চেয়ে বড় হুমকি তার সাথেও কেন সম্পর্ক রাখে”।তিনি বেইজিং এর উপর চাপ বৃদ্ধি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।

ব্লিংকেন বলেন ইউক্রেনকে সাহায্য পাঠাতে যদি আরও বিলম্ব হয় তা হলে ঝুঁকি আছে হয়ত সত্যিকারে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তিনি জোর দিয়েই বলেন এটা অবশ্যই জরুরি যে ইউক্রেন যেন অবিলম্বে আরও সাহায্য পায়।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা শুক্রবার জানান যে দেশটির মধ্যাঞ্চলে রাশিয়ার বিমান হামলায় অন্তত ৮ জন প্রাণ হারায়।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে যে নিপ্রো অঞ্চলের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে দু জন শিশুসহ ছয় জন নিহত হয় এবং খোদ নিপ্রোতেই আরও দু জন নিহত হয়।

সামজিক মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার বলেন আঞ্চলিক রাজধানী নিপ্রোতে ঐ আক্রমণে একটি আবাসিক ভবন ও রেল স্টেশনের ক্ষতি হয় ।

আরও উন্নত বিমান প্রতিরক্মা ব্যবস্থার আবেদন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জেলেন্সকি বলেন, “ প্রতিটি দেশ যারা ইউক্রেনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে , প্রতিটি নেতা যারা আমাদের সহায়তাকারীদের বলছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুদামে না রেখে সন্ত্রাসের সম্মুখীন শহর ও এলাকায় মোতায়েন করতে হবে এবং যারা আমাদের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করেন তারা আমাদের জীবন রক্ষাকারি।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলছে ঐ আক্রমণের সময়ে তারা ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৪টি ড্রোন ভূ-পতিত করেছে। সামরিক বাহিনী বলেছে এই প্রথম তারা রাশিয়ার টু-টুয়েন্টিটু এমথ্রি বোমারু বিমান গুলি করে ভূপতিত করে। এই ধরণের রুশ বিমান দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া।